আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: নদীমাতৃক বাংলাদেশের বছরের এই সময়ে নদীর তীরের মানুষ এবং ফসলাদি নিয়ে উদ্বিগ্নের যেন শেষ নেই। এবারো উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির ফলে দ্রুত বাড়ছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীর পানিও। এই যমুনায় পানি বাড়ার ফলে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যেতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রত্যেক বন্যা মৌসুমে আমরা এই পরিস্থিতিতে পড়ে যাই। প্রতি বছর বন্যা আসার আগেই কয়েক দফা যমুনায় পানি বেড়ে যায়। এতে আমাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। নিচু জমির ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। সবজি, তিল, কাউন, মরিচ ও পাটসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, অতি বৃষ্টি ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে খোকসাবাড়ী, ছোনগাছা , সয়দাবাদ, কালিয়া হরিপুর, মেছড়া ও কাওয়াকোলা ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হেক্টর জমির ফসলাদি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে , উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।#